ভোরের আলো ডেস্কঃ পৃথিবীতে যারা কোনো বিষয়ে অগ্রসর হয় বুঝতে হবে তার উর্ধ্বে ওঠার অনেক গুলো সিঁড়ি ছিল। প্রতিষ্ঠিত হবার পর অধিকাংশ লোকই সেই সিঁড়িগুলোর নাম উচ্চারণ করেনা। মনে রাখবেন, তারা যত ধর্মবাণীই প্রচার করুকনা কেন তারা সাচ্চা মুনাফেক। তারা তো সিঁড়িগুলো উচ্চারণ করবেইনা বরং নানা আকার ইঙ্গিতে নকশা এঁকে আপনাকে বিদ্রূপ করবে। আপনার অন্তরাত্মায় আরেকটি চক্ষু আছে। তা খোলা থাকলে স্পষ্টভাবে তা বুঝতে পারবেন। আমরা জানি মুনাফেকের ৩টি লক্ষণ আছে।
০১। যখন সে কথা বলে তখন মিথ্যা বলে।
০২। যখন সে ওয়াদা করে তখন তা ভঙ্গ করে।
০৩। আমানতের খেয়ানত করে।
🧶যখন কেউ বানিয়ে বানিয়ে কোনো কথা বলে যা তার দ্বারা হয়নাই বা কিছুটা হয়েছে কিন্তু সেটা তিলকে তাল বানিয়েছে কিংবা কোনো একটি সত্য বিষয় তার বর্ননায় আসা উচিত তা সে গোপন করেছে তাহলে বুঝবেন সে মুনাফেকি করছে। নিজে ছোট হবে বলে কৃতজ্ঞতার বিষয় সে এড়িয়ে চলছে তাহলেও বুঝবেন সে কোনো একটি সত্যকে গোপন করছে। তাহলে বুঝবেন সে প্রকৃত মুনাফেকিতে লিপ্ত রয়েছে। আর তার মুনাফেকির পক্ষে যদি যুক্তি প্রদর্শনে পান্ডিত্য প্রদর্শন করে শ্রোতাদের চোখে ধুলো দেবার চেষ্টা করে তাহলে বুঝবেন সে শুধু মুনাফেকই নয়,বরং মস্তবড় এক প্রতারকও বটে।
🧶যখন ওইসব মুনাফেক ওয়াদা করে তখন তা লঙ্ঘন করে। মুখে ওয়াদা করলেও ওয়াদা হয় এবং আমরা ভালো কাজ করবো,পরের কৃতজ্ঞতা জানাবো, পরের কল্যাণে নিয়োজিত থাকবো, কারো কোনো ক্ষতি করবো না এসব বিবেকের কথা যারা বলে, প্রচার করে, পরোক্ষভাবে তাদের কথাগুলো তাদের বিবেক কর্তৃক ওয়াদা হয়ে যায়। আমরা কভু বলে থাকি যে, “মোরা সদা বিবেকসম্মত কাজ করবো, তাহলে বিবেকহীন কাজ করলে সেটাও ওয়াদার খেলাফ হয়। কারণ আমরা প্রায়ই বিবেক সম্মত কাজ করার কথা বলে এক প্রকার ওয়াদাই করে থাকি কিংবা এ ব্যাপারে কাউকে উপদেশ দিতে সচেষ্ট হই। কাউকে যখন কোনো কথা দিলেন কিন্তু তা রক্ষা করেন নাই সেটা মুখের প্রত্যক্ষ ওয়াদার খেলাপ। আর বিবেকবিরোধী কাজ করা তা হলো পরোক্ষ ওয়াদা খেলাপ।
🧶আমানতের খেয়ানত করা মুনাফেকের এক লক্ষণ। আপনি কারো কাছে কোনো টাকা রাখলেন বা অন্যকিছু রাখলেন। কিন্তু তিনি তা নিজে ব্যবহার করে ফেলেছেন কিংবা ব্যবহার না করলেও তা কারো কাছে গচ্ছিত রাখা অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাহলে সেটাও আমানতের খেয়ানত হবে। আমানতের খেয়ানত সেটাও হবে যা কারো কথা অন্যজনের কাছে লাগানো হয়েছে বা প্রকাশ করা হয়েছে।
Leave a Reply